সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
সারাদেশের ন্যায় বরিশালে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। অভ্যন্তরীণ রুটের নৌযানগুলো ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো লঞ্চ চলাচল করেনি।
এর আগে ১৫ এপ্রিল নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত নৌশ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন নৌযান কর্মচারীরা।
এর পর ১৬ এপ্রিল শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৫ দিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৫ জুলাই ডাকা ত্রিপাক্ষিক সভার আয়োজন করা হয়। তবে ওই সভায় মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত হয়নি।
পরে গত ২০ জুলাই (শনিবার) নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা সিদ্ধান্ত নেয় দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে সব প্রকার নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন। ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ জুলাই দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাসেম বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো লঞ্চ চলাচল করছে না। আর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে যে লঞ্চগুলো বরিশালসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলো, সেগুলো যথাসময়ে ঘাটে এসে পৌছেছে। যাত্রীরা পরবর্তী গন্তব্যে সকালেই চলে গেছেন। এখন সব লঞ্চই ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে বরিশালে লঞ্চ চলাচল না করায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। অনেক যাত্রীই ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের যাত্রীরা জানান, তাদের উপজেলার সঙ্গে সড়কপথে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় লঞ্চ-শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন। লঞ্চ চালনা শুরু না হলে তাদের বরিশালেই আটকা থাকতে থাকতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।